জুলাই স্মৃতি জাদুঘর নির্মাণে ১১১ কোটি টাকারও বেশি অর্থ বরাদ্দের অনুমোদন দিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সংক্রান্ত দেশি-বিদেশি সব চুক্তি পর্যালোচনা করতে আইনি সহায়তারও অনুমোদন দেওয়া হয়।
মঙ্গলবার দুপুরে সচিবালয়ে ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির সভা শেষে এসব কথা জানান অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
২০২৪ সালের জুলাই অভ্যুত্থানের স্মৃতিচিহ্ন, শহীদদের স্মারক ও আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়নের ঘটনা তুলে ধরতে গণভবনকে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘর’ করার সিদ্ধান্ত গত বছরের ডিসেম্বরে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অনুমোদন হয়।
আগামী ৫ আগস্ট জুলাই গণ-অভ্যুত্থান স্মৃতি জাদুঘরের উদ্বোধন করা হবে। কার্যক্রম সমাপ্ত করতে যে ধরনের নির্মাণ বা সংস্কারকাজ করতে হবে, সেই কাজ হবে সরাসরি ক্রয়পদ্ধতিতে। ব্যয় হবে প্রায় ১১১ কোটি ১৯ লাখ ৮১ হাজার টাকা।
অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘৫ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা এটা উদ্বোধন করবেন। জুলাই স্মৃতি জাদুঘরের বিষয়টি আমরা অনুমোদন করেছি। কাজ তো এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে।’
এছাড়া আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ইনডিপেনডেন্ট পাওয়ার প্ল্যান্ট নিয়ে হওয়া চুক্তিতে কিছু অসংগতি ছিল জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা জানান, এ সংক্রান্ত দেশি বিদেশি সব চুক্তি পর্যালোচনা করতে হাইকোর্টের নির্দেশনা অনুযায়ী আইনি সহায়তার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অনেকগুলো কোম্পানির চুক্তি রিভিউ করার জন্য হাইকোর্টের একটা নির্দেশনা আছে। এটা তাদের সাথে আলাপ আলোচনা করে করতে আমাদের আইনি সহায়তা দরকার। এটার জন্য আমরা একটা প্রস্তাব অনুমোদন করেছি।’
দেশের জ্বালানি চাহিদা মেটাতে ৫৫৬ কোটি ৭৬ লাখ ৫০ হাজার ৯০৬ টাকা ব্যয়ে কাতার থেকে এক কার্গো এলএনজি আমদানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।






