জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে সাতজন বিশিষ্ট ব্যক্তির স্বজনদের হাতে স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে এ স্বাধীনতা পুরস্কার তুলে দেন তিনি। গত ১১ মার্চ রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
যেসব ব্যক্তি এবার স্বাধীনতা পুরুস্কার পেয়েছেন তারা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।
জামাল নজরুল ইসলামের কন্যা সাদাফ সাদ সিদ্দিকী পুরস্কর গ্রহণ করেন। আল মাহমুদের কন্যা বেগম আতিয়া মীর পুরস্কার গ্রহণ করেন। ফজলে হাসান আবেদের ছেলে শামেরান আবেদ। আজম খানের কন্যা অরণী খান পদক গ্রহণ করেন। আবরার ফাহাদের মাতা রোকেয়া খাতুন পদক গ্রহণ করেন।
নভেরা আহমেদের পুরস্কার প্যারিসে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে তাঁর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। বদরুদ্দীন উমর পুরস্কার গ্রহণে অপরাগতা প্রকাশ করায় পদক তৈরি করা হয়নি। তবে পদকের রেপ্লিকা জাতীয় জাদুঘরের সংরক্ষিত করা হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব শেখ আবদুর রশিদ। ১৯৭৭ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৩২৪কে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।