সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহ আলম ওরফে আহমেদ আকবর সোবহানসহ পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এদিকে বসুন্ধরাসহ দেশের শীর্ষ পর্যায়ের ১০ শিল্পগোষ্ঠীর অবৈধ অর্থ অর্জন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচার খতিয়ে দেখতে যৌথ তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) এবং কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তর।
এছাড়া বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ও এমডি সায়েম সোবহান আনভীরসহ স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মানিলন্ডারিংয়ের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এরই মধ্যে বসুন্ধরার মালিকানাধীন পত্রিকা দৈনিক কালের কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে যান জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক শফিক রেহমান। অনুষ্ঠানে গিয়ে শিল্পগ্রুপটির কর্ণধার আহমেদ আকবর সোবহানকে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কাটা কেক খাইয়ে দেন শফিক রেহমান। ইতোমধ্যে সেই অনুষ্ঠানের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করে শফিক রেহমানের সমালোচনা শুরু হয়েছে।
এক ফেসবুক পোস্টে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সিনিয়র সচিব পদমর্যাদার রাষ্ট্রদূত মুশফিকুল ফজল আনসারী বলেন, এমন একটি ছবি শুধু ভাবায় না, কাঁদায়ও! শফিক ভাই, আপনার যশ, খ্যাতি, আর বিত্ত-বৈভবের কোনো কমতি নেই। আনন্দ-বেদনার কতো গল্পই না আপনি অকপটে আমাদের সঙ্গে ভাগ করেছেন। আমি নিশ্চিত নই, কোন্ মতলববাজরা আপনার কাঁধে চড়ে এই নব্বই উর্ধ্ব বয়সে এমন লোভাতুর পথে আপনাকে ঠেলে দিল? হাজারো তাজা প্রাণকে বুলেটে ঝাঁঝরা করে দেয়ার প্ররোচনাকারীর নিকট এই সমর্পণ- বড্ড কষ্টের, শফিক ভাই!
অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামি ফেসবুক পোস্টে লেখেন, নিজ ইনসটিংক্টের প্রতি আমার সব সময়ই আস্থা ছিলো, থাকবে। সে কারণে, পরিচিত অনেকেরই শফিক রেহমানের প্রতি ব্যাপক সম্মান থাকলেও আমি কখনোই এই লোককে সিরিয়াসলি রিগার্ড করিনি। প্রতি সন্ধ্যায় গলা দিয়ে বাধ্যতামূলক এক-দুই গ্লাস লাল পানি পড়লেই যিনি খিস্তি আওড়ান, এমন লোককে বিশেষ কিছু ভাবা, অন্তত আমার পক্ষে সম্ভব ছিলোনা, হবেও না।
তিনি আরও লেখেন, কাগুজে গোলাপ শফিক, আজ তার অওকাদ বা অবস্থান আবারো পরিস্কার করলো। ভূমিদস্যু, স্বৈরাচারের দোসর শাহ আলমকে মুখে তুলে কেক খাইয়ে দিয়ে এই লোক তার নোংরা ব্যক্তিত্বই আবার প্রকাশ করলো।