পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় নিরপরাধ জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন তাদের পরিবারের সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর থেকে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করে কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. খালেদ মুনসুর বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের পর যারা চাকরিচ্যুত হয়েছে ও চাকরিচ্যুত সদস্যদের পরিবারের লোকজন দ্বিতীয় দিনের মতো এ আন্দোলন করছেন। দুপুর থেকে তারা শাহবাগ মোড় অবরোধ করে রেখেছে। এখানে সম্পূর্ণ যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় চাকরিচ্যুত সদস্য ও ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে মিছিল নিয়ে এসে শাহবাগে অবস্থান নেন তারা।
এর আগে সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সংবাদ সম্মেলনে চাকরিচ্যুত বিডিআরের সদস্যরা বলেন, পিলখানা হত্যা মামলার বিচার ব্যবস্থা নিয়ে প্রহসন চলছে। সব মিথ্যা মামলা বাতিল ও কারাবন্দী সদস্যদের মুক্তির দাবি জানান তারা। কেরানীগঞ্জে আদালত বসার কথা থাকলেও, তা না হওয়ায় একে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখছেন তারা।
পিলখানা হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত উল্লেখ করে অবরোধকারীরা বলেন, দেশবিরোধী চক্রান্তের শিকার হয়েছেন বিডিআর সদস্যরা। কারাবন্দীদের মুক্তিসহ ৩ দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়া হবে।
সারা দেশ থেকে আসা বিডিআর সদস্যরা গতকাল সকাল থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান নেয়। পরে দুপুর ১২টার দিকে নিজেদের দাবি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন অভিমুখে পদযাত্রা শুরু করেন। তবে শাহবাগ থানার সামনে পুলিশ তাদের বাধা দিলে সেখানেই অবস্থান নেন আন্দোলনরতরা। আজ দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পিলখানায় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। এই ঘটনায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা হয়। হত্যা মামলায় খালাস বা সাজাভোগ শেষে বিস্ফোরক মামলার কারণে ৪৬৮ জনের মুক্তি আটকে আছে। হত্যা মামলায় ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ৮৫০ জনের বিচার শেষ হয়। এতে ১৫২ জনের ফাঁসি, ১৬০ জনের যাবজ্জীবন ও ২৫৬ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয়া হয়। খালাস পান ২৭৮ জন।