বৃহস্পতিবার ‘শাহবাগ ব্লকেড’ এবং পরবর্তী সময়ে ‘মার্চ টু কোর্ট’ ঘোষণা করেছেন আন্দোলনকারী সাবেক বিডিআর সদস্য ও তাদের পরিবার। পিলখানা হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্ত এবং সব কারাবন্দির মুক্তির একদফা দাবিতে আজ বুধবার রাত ৮টায় কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে এক সম্মেলন থেকে তারা এ ঘোষণা দেন।
বিডিআর ৪৬ ব্যাচের সদস্য কেএ রাজ্জাক বলেন, আমরা রাতেও শহিদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করব। ন্যায়বিচারের আভাসের জন্য বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত শহিদ মিনারে অপেক্ষা করব। যদি ন্যায়বিচারের ইঙ্গিত না পাই, তাহলে আমরা শাহবাগ ব্লকেড করব।
এর আগে দুপুরে ভুক্তভোগী পরিবার ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যরা পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় ‘নিরপরাধ’ জওয়ানদের মুক্তির দাবিতে পদযাত্রা করেছেন। তারা চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুনর্বহাল এবং কারাগারে থাকা সদস্যদের মুক্তির দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন। তারা পিলখানা হত্যাকাণ্ডের দিনটিকে ‘সেনা হত্যা দিবস’ ঘোষণার দাবি জানিয়ে জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্রে বিডিআর সদস্যদের দাবিগুলোও অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান জানান।
বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার থেকে পদযাত্রা নিয়ে শাহবাগ মোড়ে পৌঁছালে পুলিশ আটকে দেয়। এতে শাহবাগ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মৎস্য ভবন, কাকরাইল ও সায়েন্স ল্যাব এলাকায় তীব্র যনজট সৃষ্টি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাড়তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত তারা শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে ৯ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ার পর সন্ধ্যায় শাহবাগ ছেড়ে চলে যান আন্দোলনকারীরা।
বিকেলে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন থেকে ফিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সমন্বয়ক মাহিন সরকার বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের পুনঃতদন্তের দাবিতে রাতে আমরা শহিদ মিনারে অবস্থা কর্মসূচি পালন করব। যদি ন্যায়বিচারের ইঙ্গিত না দেখি, তাহলে বৃহস্পতিবার শাহবাগ ব্লকেড করা হবে। একই সঙ্গে আমাদের কর্মসূচি চলমান থাকবে।