ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে মঙ্গলবার নবাব স্যার সলিমুল্লাহর ১৫৩তম জন্মবার্ষিকী বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপন করা হয়েছে। কয়েক যুগ পর আনুষ্ঠানিকভাবে পালন করা হলো এ কর্মসূচি, যা এক ঐতিহাসিক মুহূর্ত হিসেবে আলোচিত হচ্ছে সব মহলে।
শিক্ষার্থীরা জানান, পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কখনো আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণ করা হয়নি নবাব সলিমুল্লাহকে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পেছনে এই মুসলিম শাসকের অবদানকে আড়াল করার পায়তারা করে গেছে বিগত সরকার ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দিনটি উপলক্ষে সকালেই শুরু হয় নানা কর্মসূচি। সলিমুল্লাহ মুসলিম হল প্রাঙ্গণ থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়, যা ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে। এতে নেতৃত্ব দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তার সঙ্গে অংশ নেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রক্টর সহযোগী অধ্যাপক সাইফুদ্দীন আহমদ এবং হল প্রভোস্ট ড. আবদুল্লাহ-আল-মামুন।
শোভাযাত্রা শেষে সন্ধ্যায় হল প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা সভা ও সমাপনী অনুষ্ঠান। এতে সভাপতিত্ব করেন হলের প্রভোস্ট ড. আবদুল্লাহ-আল-মামুন। প্রধান অতিথি ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। তিনি নবাব সলিমুল্লাহর ঐতিহাসিক অবদান তুলে ধরে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনে নবাব সলিমুল্লাহর অবদান অনস্বীকার্য। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সূচনা তার স্বপ্ন ও প্রচেষ্টারই বাস্তব রূপ।
আরো বক্তব্য দেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. আলমগীর। উপস্থিত ছিলেন নবাব পরিবারের সদস্য, ঢাকা ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক শামসুজ্জামান দুদু, সদস্য-সচিব এ টি এম আবদুল বারী ড্যানী এবং সলিমুল্লাহ হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও আবুল কাশেম চৌধুরী।
দিনব্যাপী রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতারও আয়োজন করা হয়, যেখানে শিক্ষার্থীরা নবাব সলিমুল্লাহর জীবনী ও অবদান নিয়ে অংশ নেয়। অনুষ্ঠান শেষে অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অ্যালামনাইদের অংশগ্রহণে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।