আগামী শিক্ষাবর্ষে যথাসময়ে বিনামূল্যের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দিতে চায় সরকার। এজন্য এবার বই ছাপার কাজ আগেভাগেই শুরু করেছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। এরইমধ্যে অধিকাংশ বইয়ের টেন্ডার আহ্বান করা হয়েছে।
আগামী মাসের শেষ দিকে ছাপার জন্য বইয়ের সিডি সংশ্লিষ্ট প্রেসগুলোকে দেয়া হবে। ছাপা শেষে সব বই আগামী নভেম্বরের মধ্যে সারাদেশের নির্ধারিত ৫৮৫ পয়েন্টে পৌঁছে যাবে বলে এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার এনসিটিবি চেয়ারম্যান আরও বলেন, এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক মিলিয়ে ৩০ কোটির মত নতুন বই ছাপা হবে। এবার দশম শ্রেণির বই না ছাপা এবং অন্যান্য শ্রেণির বইয়ে চাহিদা কম আসায় প্রায় ১০ কোটি বই কম ছাপা হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সূত্রমতে, চলতি বছরের জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সাড়ে ৩৯ কোটির বেশি বই ছাপানো হয়। এর মধ্যে মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) মোট বইয়ের সংখ্যা ছিল ৩০ কোটি ৪০ লাখের বেশি। এসব বইয়ের মধ্যে দশম শ্রেণির জন্য প্রায় ৫ কোটি ২০ লাখ বই ছাপানো হয়।
নবম-দশম শ্রেণির জন্য একই বই; কিন্তু এ বছর শিক্ষাক্রম পরিবর্তনের কারণে দশম শ্রেণিতেও নতুন বই দেওয়া হয়েছে। আগামী বছর দশম শ্রেণির বই ছাপানো লাগছে না। এছাড়া চলতি বছরের চেয়ে আগামী বছরের জন্য মাধ্যমিকে ৩ কোটি ৮০ লাখের মতো বইয়ের চাহিদা কম এসেছে। মাধ্যমিকে মোট বইয়ের চাহিদা এসেছে ২১ কোটি ৪০ লাখের মতো।
অন্যদিকে চলতি বছরের জন্য প্রাথমিকের মোট পাঠ্যবই ছিল ৯ কোটি ১৯ লাখ ৫৪ হাজারের মতো। এবার ৭০ লাখের মতো কম চাহিদা এসেছে।
এদিকে চলতি বছর বই ছাপায় নানা অনিয়ম পেয়েছে এনসিটিবির পরিদর্শন টিম। এজন্য ২৮টি প্রেসের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। নিয়মানুযায়ী এসব প্রেসকে নির্ধারিত সংখ্যক বই রিপ্লেস করে দিতে হবে।
অন্যথায় তাদের জমা রাখা টাকা কেটে নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন এনসিটিবির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক রবিউল কবীর চৌধুরী। আগামী বছরের বই ছাপায় কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
খবর আমার দেশ।