ঢাকা | শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫,৬ আষাঢ় ১৪৩২

ইউজিসির সামনে অবস্থানে ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষার্থীরা

প্রস্তাবিত ৪টি নাম থেকে একটি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা।

গতকাল সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শতাধিক শিক্ষার্থী এই কর্মসূচি শুরু করেন। সেখানেই রাত কাটিয়ে দ্বিতীয় দিনের মত অবস্থান বহাল রেখেছেন শিক্ষার্থীরা।

দাবি না মানা পর্যন্ত কর্মসূচি চালানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা। প্রয়োজনে আরো জোরালো কর্মসূচি ঘোষণা করা হতে পারে বলে তারা জানান।

জানা গেছে, অবস্থানকালে সোমবার শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপম এসএম এ ফায়েজ। পরে তার সুপারিশসহ একটি আবেদন নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেন বিশ্ববিদ্যায়লটির ভিসি। তবে এ বিষয়ে এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়ার খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগেও শিক্ষার্থীরা অবরোধ-বিক্ষোভসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। সর্বশেষ সোমবার শান্তিপূর্ণ ‘লং মার্চ টু ইউজিসি’ এবং অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন তারা।

সূত্রমতে, ২০১৬ সালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে দেশের ৪১তম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক প্রথম বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয় ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, বাংলাদেশ’ স্থাপিত হয়। কিন্তু নামটি নিয়ে শিক্ষার্থীরা শুরু থেকেই আপত্তি জানিয়ে আসছেন। ৫ আগস্ট পরবর্তী পরিস্থিতিতে ১৬ জানুয়ারি ১৩টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় অন্তর্বর্তী সরকার। সে অনুযায়ী এই ভার্সিটির নাম পরিবর্তন করে ‘বাংলাদেশ ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ করার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত হয়।

গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘গাজীপুর ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি’ নামে অধ্যাদেশ জারি করে গেজেট প্রকাশ করা হয়, যা শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে। শিক্ষার্থীরা অবিলম্বে এ নাম প্রত্যাখ্যান করে এবং বাংলাদেশ যুক্ত নতুন নামকরণের দাবি জানিয়ে নানা কর্মসূচি পালন করে।

এদিকে ৭ মে শিক্ষা উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনার আশ্বাস দেয়া হয়। শিক্ষার্থীরা তার অনুরোধে কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেন। শিক্ষার্থীরা প্রস্তাবিত ৪টি নামের মধ্য থেকে দ্রুত একটি চূড়ান্ত করে বর্তমান পরিচিতি সংকট নিরসনের আহ্বান জানান।

প্রস্তাবিত নামগুলো হলো- বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি (বিইউটি); বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ইনফরমেশন অ্যান্ড টেকনোলজি (বিইউআইটি), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব অ্যাডভান্সড টেকনোলজি (বিইউএটি) এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি (বিইউএফটি)।