পঞ্চগড়ে জামায়াতে ইসলামের এক স্থানীয় নেতার বিরুদ্ধে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে বোদা উপজেলার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের সর্দারপাড়া গ্রাম থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
নিহতের নাম মুন্নি আরা বেগম খুশি (২৮)। তিনি একই গ্রামের জুলফিকার আলীর স্ত্রী। জুলফিকার মাড়েয়া বামনহাট ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড জামায়াতে ইসলামীর সভাপতি বলে জানা গেছে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, গত ১৩ অক্টোবর পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী জুলফিকার আলী স্ত্রী মুন্নি বেগমকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে তিনি গুরুতর আহত হলে প্রতিবেশীদের সহায়তায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর ১৪ অক্টোবর বিকেলে তিনি বাসায় ফেরেন। রাতে ফের স্বামীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা যান তিনি। পরে ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে আত্মহত্যা বলে চালানোর চেষ্টা করেন জুলফিকার, এমন অভিযোগ উঠেছে।
বুধবার সকালে মুন্নির মৃত্যুর খবর পেয়ে তার বাবা-মা ও স্বজনরা বাড়িতে গিয়ে লাশ দেখতে পান এবং পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
বোদা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খুরশিদ আলম জানান, নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। ঘটনাস্থল থেকে নিহতের শ্বশুর আবুল কালাম, শাশুড়ি রাহেলা বেগম ও ভাগিনা গোলাম রব্বানিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেয়া হয়েছে।
নিহত মুন্নির বাবা মহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, ‘আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এর আগেও একাধিকবার পারিবারিক কলহ নিয়ে শালিস হয়েছে। আমরা মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’
বোদা থানার তদন্ত পরিদর্শক রেজওয়ানুল হক বলেন, ‘লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’