জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় গরু চুরি করে কর্মী-সমর্থকদের জন্য ভূরিভোজের আয়োজন করার অভিযোগে ইউনিয়ন বিএনপির এক নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, চুরির অপরাধে দুইজনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আদারভিটা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাসান আল মামুন বলেন, ‘চুরির ঘটনায় কৃষক এফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ১২ জনের নাম উল্লেখ মামলা করেছেন।’
তিনি আরও জানান, মুক্তা ওই মামলার তিন নম্বর আসামি।
সূত্র জানিয়েছে, ‘আজ সকালে মাদারগঞ্জ পৌর এলাকার জোনাইল রাইসিয়া বালিকা দাখিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে উপজেলা ও পৌর জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের আয়োজনে নারী সমাবেশ অনুষ্ঠিত।
সমাবেশে অংশ নেওয়া কর্মী-সমর্থকদের জন্য উপজেলার দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামে ভূরিভোজের আয়োজন করা হয়।
মুক্তা চৌধুরী ও তার স্ত্রী জেলা মহিলা দলের অর্থ ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক লায়লা খাতুন ইতি এই আয়োজন করেন।
অভিযোগ উঠেছে, শুক্রবার রাতে জোরখালী ইউনিয়নের খামারমাগুরা গ্রামের কৃষক এফাজ মন্ডলের একটি গরু চুরি করে বিরিয়ানি রান্না করা হয়েছে।
এফাজ মন্ডল জানান, ভোররাতে ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দেখতে পান গোয়াল ঘরের দরজা খোলা এবং তার ৯০ হাজার টাকা মূল্যের গরুটি নেই। তার চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন এবং রাত থেকেই তারা জায়গায় গরু খুঁজতে শুরু করেন।
শনিবার ভোরে দক্ষিণ কয়ড়া গ্রামে বিএনপি নেতা মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীর বাড়িতে চুরি যাওয়া গরু জবাইয়ের খবর পান এফাজ।
তিনি আরও জানান, গ্রামবাসী বলেছে সুমন মন্ডল (৪০), বিজ্ঞ চৌধুরী (৪৫), কসাই বজলু প্রামাণিক (৪৫) ও কয়েকজন কর্মীর সহায়তায় মুক্তা চৌধুরী নিজেই গরুটি জবাই করেছেন। প্রতিবেশীদের সহায়তায় গরুর চামড়াসহ বজলু প্রামাণিককে হাতেনাতে ধরে ফেলেন তিনি।
‘গরু চুরির অভিযোগে সুমন মন্ডল ও কসাই বজলু প্রামাণিককে আটক করা হয়েছে। তবে মুক্তা চৌধুরী ও তার স্ত্রী লায়লা খাতুন ইতি পলাতক,’ বলেন মামুন।
অভিযোগের ব্যাপারে জানতে মুক্তা চৌধুরীর মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হয়েছে, তবে প্রতিবারই বন্ধ পাওয়া যায়।
এই ব্যাপারে উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট মঞ্জুর কাদের বাবুল খান বলেন, ‘দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অভিযোগে মাহমুদুল হাসান মুক্তা চৌধুরীকে দল থেকে সাময়িক অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’