ঢাকা | বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫,৩১ আশ্বিন ১৪৩২

ডিনস অ্যাওয়ার্ড পেলেন ঢাবির ১৫৬ শিক্ষার্থী ও ১০ শিক্ষক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলা অনুষদের ২০২১, ২০২২ ও ২০২৩ শিক্ষাবর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী ও গবেষকদের স্বীকৃতি স্বরূপ ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর ২০২৫) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে অনুষ্ঠিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে ১৭টি বিভাগের ১৫৬ জন শিক্ষার্থী এবং চারটি ক্যাটাগরিতে ১০ জন শিক্ষককে এ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা। সভাপতিত্ব করেন কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান।

কলা অনুষদের সাবেক ডিন অধ্যাপক ড. সদরুল আমিন ‘ডিনস অ্যাওয়ার্ড স্পিকার’ হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান এবং ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন দর্শন বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহ্ কাওসার মুস্তাফা আবুলউলায়ী।

অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান বলেন, মেধাকে মূল্যায়ন করতে পারা আমাদের জন্য আনন্দের বিষয়। সাফল্যের পেছনে পরিশ্রমের পাশাপাশি অভিভাবক ও শিক্ষকদের অবদানও অনস্বীকার্য। সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও আমরা মেধার স্বীকৃতি দিতে পেরেছি, এটাই আমাদের গর্ব।

তিনি আরও বলেন, পড়াশোনার পাশাপাশি পারিবারিক জীবনের ভারসাম্যও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভারসাম্যপূর্ণ জীবনই ভবিষ্যৎকে করে আরও উজ্জ্বল।

বিশেষ অতিথি উপ উপাচার্য প্রশাসন অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা বলেন, এই অনুষ্ঠান আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য গর্বের। মেধার স্বীকৃতি দিতে পারা এক ধরনের সার্থকতা। শিক্ষার্থীদের সাফল্যের পেছনে বাবা-মা ও শিক্ষকদের অবদান কখনো ভোলা যায় না।

সভাপতির বক্তব্যে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আজকের দিনটি আমাদের জন্য গৌরবের। তবে কেবল এই অর্জনেই থেমে গেলে চলবে না। শিক্ষার্থীরা যেন জ্ঞানকে সমাজের কল্যাণে ব্যবহার করে, সেটিই হবে আসল সার্থকতা।

অনুষ্ঠানে অনুষদের ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের নাম বিভাগভিত্তিক ঘোষণা করা হয়। বাংলা বিভাগে পুরস্কার পান মাহফুজা মাহবুব।

ইংরেজি বিভাগে জেরিন তাসনিম রাইসা, মানতাহা কিশোয়ার, মো. সারোয়ার কামাল ভূঁইয়া, তাওসিফ এহসান, আয়শা আক্তার সুমি, মোসা. ঈশিতা হক, লাবিব রশিদ ইনান ও তাশরিফা ফাইরুজ।

আরবি বিভাগে মাসুদুর রহমান, আবদুল্লাহ মজুমদার, আতহারুল ইসলাম শহিদ, তৌহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ ইকরামুল হক, মুনতাসির আহমদ মুয়াজ, মাহমুদুল হাসান, এজাজুল হক, মো. সাজ্জাদ হোসেন খান, সামিয়া জাহান, মিজানুর রহমান, নাজমুস সাকিব, হোসাইন আহম্মদ, ইয়াসির মাহমুদ, হাসমত আলী, মাহমুদুল আহসান, মুনতাসির আহমদ, আরফাতুল ইসলাম, আবদুল্লাহ আল মাসুদ, ইমরান হোসাইন, ওমর ফারুক, জেসমিন ইসলাম তাপসী ও মোহাম্মদ আব্দুর রহমান মাহদি।

ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগে সায়মা আক্তার, মো. খায়রুজ্জামান, মোসা. ফাহিমা সুমাইয়া, মো. ইশরেকাত হাসান ইমন, মাহমুদা আক্তার ও শান্তা আক্তার।

উর্দু বিভাগে সৈয়দা জাসিয়া আলী, মোসা. আলপনা আক্তার, মো. আবু সাজিদ, নাকিবা আজিম ও মো. হাবিবুল্লাহ মুসকান।

সংস্কৃত বিভাগে অনিক চন্দ্র বিশ্বাস, মধু কুমার রায়, উম্মে তামান্না সুলতানা কুয়াশা, সুমি রাণী দাস ও তমা রাণী সরকার।

পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগে পিয়া দাস, অধিবাসী রায়, তানজিলা আক্তার ও প্রতিভা চাকমা।

ইতিহাস বিভাগে মো. হাসাইবুর রহমান, সোনিয়া আক্তার, মো. হাসিবুর রহমান, মো. মেহেদী হাসান, আবু তৈয়ব, সৌরভ মিয়া, অনন্যা আক্তার, তাসনিম মোস্তফা, পূজা দাস, ফারজানা পারভিন, সুষ্মিতা বাড়ৈ, অর্জুনা আক্তার, সুরাইয়া ইয়াসমিন সূচনা ও রূপম রোদ্দর।

দর্শন বিভাগে সানজিদা ইমু, তামান্না খাতুন, শায়লা ইসলাম নিপা ও মো. ইমরান হোসাইন।

ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগে সাঈদ নাকিব, মো. হাসান তারেক খান, মো. মাজহারুল ইসলাম, রাকিজাতুল জান্নাত, কাজী নাঈম সিদ্দিকী, মোহাম্মদ জায়েদ, মো. মাহমুদুর রহমান, মো. আমির ফয়সাল, মো. আহমদ্দুল্লাহ, উম্মে কুলসুম, তাসলিমা আক্তার অণু, জাকিয়া খাতুন, নাসরিন আক্তার, মো. সাখাওয়াত হোসাইন সাব্বির, মো. নুর আলম ও খায়রুন নেসা।

ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগে মোসা. শাহিনা খাতুন, রুজেল মিয়া, মো. রুমন হোসাইন, জিনাত আরা মুনা, জাহানারা, আফসানা নূর ফাবি, রেশমা আক্তার, ইশিতা খাতুন, মো. তৌহিদুল ইসলাম, হোসনে আরা, মুবাশ্বিরুজ্জামান হাসান, আবু আহমদ মুহিবুল্লাহ ও সাফা আহমদ।

তথ্যবিজ্ঞান ও গ্রন্থাগার ব্যবস্থাপনা বিভাগে মণীষা সাহা, কাজী মোস্তফা জামান, আশিক রায়হান, সানজিদা ইসলাম বুশরা, ফারিহা তাসনিম শ্রুতি ও মো. হাসনাইন।

থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগে নিকিতা আজম, মোসা. নাসরিন সুলতানা, রিফাত করবী, তাহসিন নূর মৃত্তিতা, মুনিরা মাহজাবিন, মো. আশরাফুল ইসলাম, জাদিদ ইমতিয়াজ আহমেদ ও মো. আল মামুন।

ভাষাবিজ্ঞান বিভাগে মো. রাকিবুল ইসলাম রাকিব, নওয়াজ শরিফ শুভ, প্রজ্ঞা সাহা, স্মৃতি আক্তার, মো. শাহাজালাল বাদশা, শুদ্ধ এম তৌসিফ ও শাশ্বত সরকার।

সংগীত বিভাগে কমল দত্ত, নূরে জান্নাত আফরিস, অর্পিতা দে ও নুসরাত জাহান।

বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগে লুৎফন নাহার, অমৃতা পাল, জান্নাতুল ফেরদৌস, রাগিব আনজুম, দেবাশিস দাস, সুস্ময় দেব বর্মন ও শিখা রাণী দাস।

নৃত্যকলা বিভাগে মূর্ছনা দেবনাথ, লাবনী বন্যা, রিফাহ তাসনিয়া তিশান, সুরাইয়া কবির ও তন্বি সরকার।

এছাড়া শিক্ষকদের মধ্যে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তরা হলেন- আরবি বিভাগের অধ্যাপক ড. যুবাইর মুহাম্মদ এহসানুল হক; ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবদুর রহিম; ফারসি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার ও ড. মো. মুমিত আল রশিদ; বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আবু সায়েম, ড. শাফী মো. মোস্তফা ও অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইলিয়াছ; পালি অ্যান্ড বুদ্ধিস্ট স্টাডিজ বিভাগের ড. শান্টু বড়ুয়া এবং ইংরেজি বিভাগের ড. কামরুল হাসান চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের শিক্ষক, বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, ইনস্টিটিউট পরিচালক, হল প্রাধ্যক্ষ, প্রক্টর, রেজিস্ট্রার, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা উপস্থিত ছিলেন।