ঢাকা | বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫,৩১ আশ্বিন ১৪৩২

পুলিশের বাধায় আটকে গেলো এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের লং মার্চ

এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের মূল বেতনের ২০ শতাংশ বাড়িভাড়াসহ তিন দাবিতে শহীদ মিনার টু সচিবালয় অভিমুখে লং মার্চ পুলিশের বাধায় আটকে গেছে। লং মার্চ শুরু করার পরপরই শিক্ষকরা বাধার মুখে পড়েন।

মঙ্গলবার বিকেলে তারা এ লং মার্চ শুরু করেন। পরে হাইকোর্টের কাছাকাছি যাওয়ার পরে পদযাত্রাটি বেরিকেড দিয়ে আটকে দেয় পুলিশ। পরে সেখানেই অবস্থান নিয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষকরা। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, এখানেই অবস্থান নেবেন প্রজ্ঞাপন না হওয়া পর্যন্ত।

এর আগে মঙ্গলবার সকাল থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শিক্ষক অবস্থান করছেন এমপিওভুক্ত হাজার-হাজার শিক্ষক। পরে আন্দোলনরত শিক্ষকরা ২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সরকারকে। অপরদিকে অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ৩ ঘণ্টার সময় চেয়েছিলো। শিক্ষকদের আন্দোলন নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ।

এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিব অধ্যক্ষ দেলাওয়ার হোসেন আজিজী বলেছিলেন, ২০ শতাংশ মানে ২০ শতাংশই। স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই আমরা এক শতাংশও ছাড় দেবো না। যদি উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত নেন, এই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়বে।

অপরদিকে সারা দেশের বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা বর্তমানে কর্মবিরতি পালন করে যাচ্ছেন। তারা প্রতিদিন নিয়মিত বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও কোনো শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করছেন না, পাঠদান কার্যক্রমেও অংশ নিচ্ছেন না। বিদ্যালয়ের আঙিনা, শিক্ষক লাউঞ্জ কিংবা অফিসকক্ষে বসেই তারা অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছেন।স্কুল সাপ্লাই