ঢাকা | শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫,৬ আষাঢ় ১৪৩২

মৌলভীবাজার সীমান্তে ভারত থেকে ২৯ জনকে পুশইন

মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জের পৃথক দুই সীমান্ত এলাকা থেকে ১৯ জন ও জুড়ী সীমান্ত দিয়ে ১০ জন বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ। তাদের আটক করে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে।

শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে কমলগঞ্জ উপজেলার সীমান্তবর্তী ৯নং ইসলামপুর ইউনিয়নের বাগীছড়া থেকে ৫ জন ও চাম্পাছড়া এলাকা থেকে পুশইন করা ১৪ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে শিশু ও নারী রয়েছে। আটককৃতদের বাগীছড়া বিওপি ও চাম্পাছড়া বিওপিতে রেখে তাদের তথ্য যাচাইয়ের পর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জাকারিয়া জানান, শুক্রবার ১৯ জনকে বাংলাদেশে পুশইন করা হয়েছে। ভোর ৪টার দিকে কমলগঞ্জের বাগীছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ৫ জন ও সকাল ৭টার দিকে চাম্পাছড়া সীমান্ত এলাকা থেকে ১৪ জনকে বিজিবির টহল দল আটক করে। প্রথম ৫ জনকে কমলগঞ্জ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই ৫ জন কুড়িগ্রামের বাসিন্দা। বাকিদের তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের কমলগঞ্জ থানায় সোপর্দ করার প্রক্রিয়া চলছে।

কমলগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) শামীম আকনজী ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিজিবির হাতে আটক ১৯ জনকে এখনও থানায় হস্তান্তর করা হয়নি।

এদিকে জুড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতীয় বিএসএফ। শুক্রবার সকালে জুড়ী উপজেলার রাজকি সীমান্ত থেকে তাদের আটক করে বিজিবি। এর মধ্যে নারী ও শিশু রয়েছে।

কয়েক দিন থেকে বিএসএফের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে পুশইনের ঘটনায় বিজিবি সতর্ক অবস্থায় ছিল। এর মধ্যেই পুশইনের ঘটনা ঘটলো।

বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়ন (৫২ বিজিবি)-এর আওতাধীন মৌলভীবাজার জেলার জুড়ী থানাধীন রাজকী বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সীমান্ত পিলার ১৮৩৬/১৮-এস থেকে আনুমানিক ১৫০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে কোনাবাড়ীর মতিনপুর দিয়ে ১০ জনকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি’র টহল দল আটক করে। আটক ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তাদের বিএসএফ পুশইন করেছে। আটককৃত ১০ জনের মধ্যে ৪ জন পুরুষ, ২ জন নারী ও ৪ জন।

আটককৃতরা হলেন, মো. শহিদুল ইসলাম (৩৪), পিতা -হোসেন আলী, মোছা রুমেনা খাতুন (২৮), স্বামী- শহিদুল ইসলাম, মো. মামুন (০৮), পিতা- মো. শহিদুল ইসলাম, মোছা ফাতেমা (০৫),

পিতা- মো. শহিদুল ইসলাম, সুলতানা বেগম (০২), পিতা- মো. শহিদুল ইসলাম, সর্বসাং-সরকারবাড়ী,

পোস্ট- নকরগঞ্জ, থানা- নাগেশরী, জেলা- কুড়িগ্রাম, আশিদুল ইসলাম (২৩) পিতা- মো. হোসেন আলী, মোছা ফিরোজা বেগম (১৮), স্বামী -আশিদুল ইসলাম, মর্জিনা আক্তার (০৩), পিতা-আশিদুল ইসলাম, মো. শামীম (৩০). পিতা: সামছুল ইসলাম, মো. হাফিজুর রহমান (২৪), পিতা- হাসমত আলী, সর্বসাং- কুড়িবাড়ি, পোস্ট- বীলাবাড়ী, থানা-ফুলবাড়ি, জেলা- কুড়িগ্রাম।