শেষ পর্যন্ত থাইল্যান্ডের উদ্দেশে যাত্রা করতে পারেননি ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থের স্ত্রী শেখ শাইরা শারমিন। একাধিক চেষ্টা সত্ত্বেও মঙ্গলবার দুপুরে ফ্লাইট ধরতে গিয়ে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন বিভাগে তাকে আটকে দেওয়া হয়। জানানো হয়, স্পেশাল ব্রাঞ্চ (এসবি)-এর পূর্বানুমতি ছাড়া তিনি বিদেশ যেতে পারবেন না।
সূত্র জানায়, সাবেক রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের আকস্মিক বিদেশ যাত্রার ঘটনার পর থেকে দেশের ইমিগ্রেশন কার্যক্রমের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ এখন এসবির হাতে। এখন থেকে বিদেশগামী ব্যক্তিদের ব্যাপারে নিরাপত্তা ছাড়পত্র ছাড়া কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না।
ব্যারিস্টার পার্থ সাংবাদিকদের বলেন, “আমার স্ত্রী ও ছোট মেয়ে ব্যাংককে মেডিকেল চেকআপের জন্য যাচ্ছিল। কিন্তু এসবি থেকে জানানো হয়েছে—বিদেশ যেতে হলে অনুমতি নিতে হবে। আমরা বাড়িতে ফিরে এসেছি। ইমিগ্রেশনে কেউ খারাপ ব্যবহার করেনি। আমি আইনপেশায় জড়িত মানুষ। আইনের পথেই আমি আমার পরিবারের বিদেশযাত্রার ব্যবস্থা করব।”
রাজনৈতিক অঙ্গনের অনেকে মনে করছেন, শেখ শাইরার বিদেশ যাত্রা আটকে দেওয়ার সিদ্ধান্তটি তাঁর রাজনৈতিক পরিচয় ও পারিবারিক যোগসূত্রের কারণেই নেওয়া হয়েছে। শেখ শাইরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠ আত্মীয় এবং শেখ হেলালের কন্যা। শেখ হেলাল নিজেই আগে দেশ ত্যাগ করেছেন বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা নিয়ে সামাজিক ও রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নতুন করে আলোচনা, বিশেষত যেভাবে ব্যক্তিগত ও পারিবারিক পর্যায়ের ভ্রমণও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণের আওতায় চলে এসেছে।