ঢাকা | রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫,১৪ বৈশাখ ১৪৩২

শাস্তির দাবিতে বাংলা একাডেমি ‘ঘেরাও কর্মসূচি’

বাংলা একাডেমির আমূল সংস্কার, ‘ফ্যাসিবাদী’দের অপসারণ এবং পুরস্কার ‘কেলেঙ্কারি’তে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়ে একাডেমির সামনে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করেছে ‘বিক্ষুব্ধ কবি-লেখক সমাজ’ ও ‘জাতীয় সাংস্কৃতিক বিপ্লব’ নামের দুটি প্লাটফর্ম।

রোববার দুপুরে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়ার পর তাদের একটি প্রতিনিধি দল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজমের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন।

ঘেরাও কর্মসূচিতে দেওয়া বক্তব্যে কথাসাহিত্যিক এহসান মাহমুদ বলেন, “বাংলা একাডেমি নির্বাহী পরিষদ পুনর্গঠন না করলে এই সমস্যার সমাধান হবে না।”

একাডেমির মূল কাজ গবেষণা হলেও সেই জায়গা থেকে একাডেমি সরে গেছে অভিযোগ করে তরুণ এই সাহিত্যিক বলেন, “তারা এখন বইমেলার আয়োজন আর পুরস্কার দেওয়ার কাজ নিয়েই ব্যস্ত থাকে। মূল কাজ যে গবেষণা, তা নিয়ে তাদের কোনো কাজ নেই।”

“বাংলা একাডেমির পুরস্কার যাদের দেওয়া হয়েছে, তাদের অনেকে যোগ্য। তবে দুয়েকজন ফ্যাসিবাদের দোসর রয়ে গেছেন। এখন পুরস্কার স্থগিত করার কারণে যোগ্যদেরও তো অপমান করা হল। এই দায় পুরস্কারের জুরি বোর্ডকে নিতে হবে। জুরি বোর্ডে যারা আছেন, তাদেরকে বিচারের আওতায় আনতে হবে।”

লেখক আবিদ আজম বলেন, “স্বৈরাচারের দোসরদের পুরস্কার স্থগিত নয়, বাতিল করতে হবে। স্বৈরাচারী সরকারের সময় বাংলা একাডেমিতে অনেক অযোগ্যদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তাদেরকে বাদ দিতে হবে। পুরস্কারের জুরি বোর্ডে যারা ছিলেন, তাদের নাম প্রকাশ করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার ঘোষণা করা পুরস্কারের তালিকায় থাকা কারও কারও সম্পর্কে ‘কিছু অভিযোগ’ আসায় শনিবার বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার স্থগিত করা হয়।

আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে পুনর্বিবেচনার পর তালিকাটি পুনঃপ্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি।

শনিবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে পরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ।