ঢাকা | শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি ২০২৫,৩ মাঘ ১৪৩১

ছাত্রদলের কেউ মারেনি ফারুককে

অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের দলীয় মুখপাত্র (উচ্চতর পরিষদের সদস্য ও সিনিয়র সহসভাপতি পদমর্যাদা) ফারুক হাসানের ওপরে হামলা হয়েছে। এ হামলায় তিনি রক্তাক্ত জখম হয়েছেন। আজ শনিবার বিকেলে কেন্দীয় শহীদ মিনারে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সমাবেশে তার ওপর এ হামলা হয়েছে।

ফারুক প্রথমে এ হামলার জন্য ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের দায়ী করেছিলেন। তবে পরে তিনি জানান, এ হামলা করেছেন জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য আবু হানিফ বলেন, ফারুক হাসানের ওপর হামলায় আহত হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে চিনতে না পারায় ভুলবশত ছাত্রদলের নাম বলেছিলেন। পরে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছাত্রদল নয়, হামলা করেছে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের ফেসবুক পেজে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ফারুক হাসানকে বলতে শোনা যায়, ছাত্রদল নয় জাতীয় বিপ্লবী পরিষদের সদস্যরাই ছাত্রলীগের কায়দায় পেছন থেকে তার উপর হামলা করেছে।

এর আগে ফারুক হাসান অভিযোগ করে বলেছিলেন, জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। সেখানে আমাকে অতিথি করা হয়। সেখানে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরাও উপস্থিত ছিল। আমি আমার বক্তব্যে একটি বিপ্লবী সরকার চেয়েছি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছাত্রদলের সন্ত্রাসীরা আমার ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।

এদিকে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহিদ পরিবারের সদস্যদের সম্মান জানাতে এবং নতুন সংবিধান গঠনের জন্য শহিদ মিনারে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ। ওই অনুষ্ঠানে অতিথি ছিলেন- গণঅধিকার পরিষদ নেতা ফারুক হাসান। সেখানে অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন ফারুক। এ সময় শহিদ মিনারেই ফারুকের ওপর হামলা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ১০-১৫ জন ফারুক হাসানের ওপর হামলা করেছে। সরকারের সমালোচনা করার কারণেই এ হামলা চালানো হয়।

এদিকে, আগামী দুই ঘণ্টার মধ্যে হামলার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ। এ বিষয়ে পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে কঠোর অবস্থানে যাওয়ার ঘোষণাও দিয়েছে সংগঠনটি।