রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় ঘোষণাসহ সাত দফা দাবিতে গণ-আমরণ অনশন পালন করছে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। শনিবার চতুর্থ দিনে গড়ালো তাদের অনশন। এরমধ্যে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
২৯ জানুয়ারি বিকেল ৫টার পর থেকে কলেজটির মূল ফটকের সামনে ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির দাবিতে আমরণ অনশন’ ব্যানারে তারা এ কর্মসূচি পালন করছেন।
শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরসহ ৭ দফা দাবিতে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘তিতুমীর ঐক্য’র পক্ষ থেকে জরুরি এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেয় তারা। তবে এই সময়ের মধ্যেও শিক্ষার্থীদের অনশন চলমান থাকবে বলে জানায়।
সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘শনিবার বিকেল ৪টার মধ্যে আমরণ অনশনরত শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবি মেনে নিয়ে তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিতে হবে। না হলে ‘বারাসাত ব্যারিকেড টু নর্থ সিটি’ কর্মসূচি অনির্দিষ্টকালের জন্য পালন করা হবে। রেল ও সড়কপথ কর্মসূচির আওতায় থাকবে। সেই সঙ্গে আমাদের আমরণ অনশনও চলমান থাকবে।’
এর আগে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় করার দাবিতে গুলশান-১ সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। অবরোধের ফলে গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটিতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
শিক্ষার্থীদের ৭ দফা দাবিগুলো হলো-
১. ‘তিতুমীর বিশ্ববিদ্যালয়’ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ করতে হবে। ২. বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। ৩. শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ নতুবা অনতিবিলম্বে শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসিক খরচ বহন করতে হবে। ৪. ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন ন্যূনতম দুটি বিষয় আইন এবং জার্নালিজম বিষয় সংযোজন করতে হবে।
৫. একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন পিএইচডিধারী শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে। ৬. শিক্ষার গুণগতমান শতভাগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে আসন সংখ্যা সীমিত করতে হবে। ৭. আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার বিনির্মাণের লক্ষ্যে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিতকরণ করতে হবে।