ঢাকা | শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫,৬ আষাঢ় ১৪৩২

ফুটবল উৎসবে মুখরিত জাতীয় স্টেডিয়াম

ঈদ আনন্দে বাড়তি আমেজ ছড়িয়ে দিলো বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুর ফুটবল ম্যাচ। এই দুদলের ম্যাচকে কেন্দ্রকে জাতীয় স্টেডিয়াম পরিণত অন্যরকম এক ফুটবল উৎসবে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী জাতীয় স্টেডিয়ামের গেইটগুলো বেলা ২টায় খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তাই দুপুর থেকেই জাতীয় স্টেডিয়ামের আশপাশের এলাকায় দর্শকের ঢল নামে। বেলা আড়াইটায় খুলে দেওয়া হয় স্টেডিয়ামের গেইট।

স্টেডিয়ামের চারটি গেইটেই দর্শকের উপচে পড়া ভিড় দেখা যায়। বাংলাদেশের জার্সি গায়ে, জাতীয় পতাকা, ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে স্টেডিয়ামে হাজির হন দর্শকরা। স্টেডিয়ামকে ঘিরে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা। শুধুমাত্র টিকেটধারী দর্শকরা স্টেডিয়াম চত্বরে প্রবেশের সুযোগ পান। তাদের ই-টিকেট চেক করা হয়। ভুটান ম্যাচের চেয়ে সিঙ্গাপুর ম্যাচে নিরাপত্তাসহ সব বিষয়ে বেশি কড়াকড়ি লক্ষ্য করা যায়।

টিকেটধারী, টিকেটবিহীন নানা বয়সী দর্শকরা ভিড় জমায় স্টেডিয়াম এলাকায়। চার নম্বরে গেইটের বাইরে জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকাররামের সামনে, দৈনিক বাংলার মোড় থেকে তিন নম্বর গেইটের দিলকুশার মোড় পর্যন্ত দর্শকের লম্বা সারি। গুলস্তানমুখী এক ও দুই নম্বরের গেইটের মুখেও অগণিত দর্শকদের মাঝে ফুটবল উৎসব দেখা যায়।

এত দিন যারা আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে মিরপুরের শেরেই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে যে দৃশ্য দেখা যেতো, ঠিক সে রকম ভাবেই উত্তাপ ছড়ানো আমেজপূর্ণ উৎসবমুখর হয়ে উঠে জাতীয় স্টেডিয়াম। ম্যাচের দিনও সর্বত্র ছিল টিকেটের জন্য হাহাকার। গত মে মাসে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর ম্যাচের টিকেট অনলাইনে ছেড়েছিল বাফুফে। কিন্তু অনলাইনে ছাড়া সেই টিকেট নিয়ে মহাকেলেঙ্কারি হয়েছে।

টিকেটের দাবিতে বাফুফের সামনে অবস্থান কর্মসূচি করেছে ফুটবল সমর্থকরা। চাহিদা অনুযায়ী টিকেট দিতে পারেনি বাফুফে। জাতীয় স্টেডিয়ামে সাধারণ দর্শকদের জন্য ১৮ হাজার ৩০০ টিকেট দেওয়া হয়েছে। ফলে টিকেট যেন সোনার হরিণ হয়ে দাঁড়ায়! স্টেডিয়ামের বাইরে টিকেটের জন্য হাহাকার থাকলেও গেইট খুলার এক ঘণ্টার মধ্যে স্টেডিয়ামের গ্যালারির সিংহভাগ দর্শকের পরিপূর্ণ হয়ে উঠে। সব মিলিয়ে দীর্ঘ দিন পর ফুটবলের এক মহা উৎসবের পরিণত হয়েছে জাতীয় স্টেডিয়াম।