খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) দুই শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়েছিল সাধারণ শিক্ষার্থীরা। তবে বিশ্ববিদ্যালয় সেই আল্টিমেটাম আমলে না নেয়ায় আমরণ কর্মসূচি শুরু করেছেন ওই দুই শিক্ষার্থী। একইসঙ্গে ফের ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছেন তারা।
রোববার (১৭ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় খুবির প্রশাসনিক ভবনের সামনে তারা আমরণ কর্মসূচি শুরু করেন।
এই দুই শিক্ষার্থী হলেন-বাংলা ডিসিপ্লিনের মোহাম্মদ মোবারক হোসেন নোমান (১৮ ব্যাচ) এবং ইতিহাস ও সভ্যতা ডিসিপ্লিনের ইমামুল ইসলাম (১৭ ব্যাচ)।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, খুবি শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা আন্দোলনে যুক্ত থাকায় অসদাচরণের অভিযোগে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।
তারা বলেন, ‘শনিবার প্রেস কনফারেন্স করে অন্যায্য দাবি প্রত্যাহারের জন্য আমরা প্রশাসনকে ২৪ ঘণ্টার সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন এই সময়ের মধ্যে শাস্তি প্রত্যাহার করেনি। তাই আমরা অনশন কর্মসূচি শুরু করেছি।’
এই দুই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘আমরা দেশবাসীকে বলছি, এই বহিষ্কার প্রত্যাহার না করা হলে এবং এই বহিষ্কারের সংবাদ শোনার পর আমাদের বাবা-মায়ের কিছু হলে, তার জন্য দায়ী থাকবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। আবারও বলছি, অন্যায়ের বিপক্ষে লড়াই করতে গিয়ে আমরা জীবন দিতে প্রস্তুত আছি।’
‘আশা করছি, এই ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রশাসন আমাদের বিরুদ্ধে নেয়া অন্যায্য শাস্তি প্রত্যাহার করবে ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ আমাদের সঙ্গেই আছেন। তাই আমাদের বিজয় কেউ ঠেকাতে পারবে না।’
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে পাঁচ দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। এসব দাবির মধ্যে ছিল-বেতন কমানো, আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ, চিকিৎসাব্যবস্থা উন্নত করা, অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে অবকাঠামো নির্মাণ ও ছাত্রবিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা।
গত ১৩ জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক পরিচালক ও শৃঙ্খলা বোর্ডের সদস্য সচিব প্রফেসর মো. শরীফ হাসান লিমন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানান, তদন্ত ও একাডেমিক কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করার দায়ে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি প্রদান করেছে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।